দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন নদ নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষে আগাম বন্যা হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, তিস্তার পানি বাড়ায় এখনও পানিবন্দি লালমনিরহাটের প্রায় ২০০০ পরিবার। শনিবার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়ায়। খুলে দেয়া হয় ব্যারেজের সবকটি গেট।
অন্যদিকে গত কয়েক দিন ধরেই পানি বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রসহ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ নদীতে। ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্ট ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বেড়েছে পানি। এরইমধ্যে চরাঞ্চলে বেশ কিছু গ্রামে পানি উঠতে শুরু করেছে।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় প্রায় সবগুলো নদনদীর পানি বেড়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বন্যাকবলিত এই এলাকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙনের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বন্যার আশঙ্কায় দিশেহারা যমুনা তীরবর্তীর মানুষ। আগামী কয়েকদিন যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এছাড়া কুমিল্লায় গত ২০ দিনে ৩৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জুনের শুরু থেইে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বেড়েছে জেলার নদ-নদীর পানি।
বৃষ্টি এবং সীমান্তবর্তী ভারতের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার গোমতীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় গোমতীর চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত।
সম্প্রতি বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা থেকে মানুষকে রক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে বাঁধগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। এছাড়া স্লুইসগেট এবং খাল ও নদী খনন দরকার। এখন থেকেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন